নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৫ এপ্রিল, ২০২১ ১১:৪২ : পূর্বাহ্ণ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। প্রথম দিনের চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিন রাজধানীর রাস্তায় তুলনামূলক শিথিলভাব দেখা গেছে। সকাল থেকে যানবাহনের চাপ ও জনসমাগম বেড়েছে। পুলিশ চেকপোস্টগুলো প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন কিছুটা নমনীয়।
আজ সকালে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম দিন বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষকে বাইরে বের হওয়ার জন্য পুলিশের জেরার মধ্যে পড়তে হলেও আজ সেই চিত্র খুব একটা দেখা যায়নি। তবে শহরের বিভিন্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে যানবাহনের চাপে যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, খিলক্ষেত-বনানী-এয়ারপোর্ট রোডে প্রায় দেড় কিলোমিটার জুড়ে ট্রাক, বাস, প্রাইভেটকারের দীর্ঘ সারি। জনসমাগম ও যানবাহনের চাপ বাড়ায় হালকা যানজট দেখা গেছে রামপুরা সড়কে। হাতিরঝিলের দুই মাথায় চেকপোস্টগুলোতে ছিল না বুধবারের মতো কড়াকড়ি। কারওয়ান বাজার মোড়ে চলতে দেখা গেছে বিআরটিসির এসি বাসও।
সাভারের সড়কে দেখা গেছে ঢিলেঢালাভাব। প্রয়োজন ছাড়াই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে অনেকেই ঘুরতে বেরিয়েছেন। কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতেও উপেক্ষিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি।
বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাব-৩-এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
তিনি বলেন, জরিমানা করা র্যাবের উদ্দেশ নয়। র্যাবের উদ্দেশ্য করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং সরকারের সর্বাত্মক কঠোর নিষেধাজ্ঞা মানার পরিবেশ তৈরি করা। আইন অমান্য করে যারা বিনা কারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করবেন, মুভমেন্ট পাস না নিয়ে বাইরে বের হবেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না তাদেরকে জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।
গতকাল বুধবার পয়লা বৈশাখের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পোশাক কারখানা, ব্যাংক, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। আর এজন্য সকাল থেকে সড়কে যান চলাচলে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন ‘মুভমেন্ট পাস’ বেশি সংখ্যক ইস্যু করাতে মানুষ এবং যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার ব্যাংক ও শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতামুক্ত রেখেছে।
গতকাল বুধবার ‘কঠোর লকডাউনের’ প্রথম দিন রাজধানী ছিল কার্যত ফাঁকা। মানুষ খুব বেশি একটা ঘর থেকে বের হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। অকারণে বের হওয়ার কারণে কাউকে কাউকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। মামলাও হয়েছে।