রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১১:১৯ : পূর্বাহ্ণ
সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। বাংলাদেশের আকাশে গতকাল মঙ্গলবার পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আজ বুধবার থেকে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ থামাতে বিশেষ বিধিনিষেধ অনুযায়ী মসজিদগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গতকাল এশার নামাজের পরে প্রথম তারাবির জামাত আদায় করা হয়। এরপর শেষ রাতে সেহ্রি খেয়ে রোজা রেখেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই মাসে প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দিবাভাগে পানাহার না করে থেকে সংযমের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি করে মহান আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ কামনা করবেন তারা।
করোনা পরিস্থিতিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন বলে নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে আজ ১৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। তবে জুমআর নামাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা বেঁধে দেয়া হয়নি।
ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম হলো রোজা। দীর্ঘ ১১টি মাসের পাপ থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এ মাস। রোজা ইসলামের মৌলিক ইবাদতের মধ্যে অন্যতম। আর এ রোজা মুসলমানদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। মহান আল্লাহপাক এই মাসের প্রতিটি দিবস-রজনীতে দান করেছেন অশেষ খায়ের-বরকত-মাগফিরাত এবং অফুরন্ত কল্যাণ।
বহু ফজিলত ও পুণ্যময় বৈশিষ্ট্যে ভরা এ মাসটিতেই পবিত্র কোরআন নাজিল হয়। এ মাসেই রয়েছে সহস্র মাসের চেয়ে সেরা একটি রাত-লাইলাতুল কদর। আগামী ৯ মে দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। তবে এই মহামহিমান্বিত রাতটি আসবে রমজানের শেষ ১০ দিনের যে কোনো বেজোড় রাতে। সেটা ২১ রমজান থেকে ২৯ রমজানের যে কোনো রাতে হতে পারে।
রমজান মাসের নাম এসেছে আরবি ‘রামাদ’ শব্দ থেকে। এর অর্থ ‘তপ্ত’ বা ‘শুষ্কতা’। প্রথম রমজান মাস পালিত হয়েছিল গ্রীষ্মে, সে জন্যই এমন নামকরণ করা হয়েছে। নামকরণের আরেকটি প্রতীকী কারণ হচ্ছে, গ্রীষ্মের সূর্য যেমন পৃথিবীকে দগ্ধ করে, তেমনি এই মাস সব পাপকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।’ (মুসনাদ আহমদ)।
রমজান ফরজ হওয়া সম্পর্কে মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কালামে সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করেন: ‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যেন তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অর্জন করতে পার।’