নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১০:৩৩ : পূর্বাহ্ণ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ সামাল দিতে আজ বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধ বহাল থাকবে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। সরকারের পক্ষ থেকে এটিকে `কঠোর লকডাউন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও সরকারি প্রজ্ঞাপনে এটিকে বলা হয়েছে `বিধিনিষেধ’।
আজ ভোর থেকে ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। টিকাটুলি মোড়, গুলিস্তান, জিরো পয়েন্ট আর শাহবাগ হয়ে সোনারগাঁও মোড় সর্বত্র কড়া নজরদারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
বহু রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার কোনো যানবাহনও যেতে পারছে না, যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়।
`কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, `সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস ও সকল প্রকার পরিবহন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন (ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা, চিকিৎসা সেবা, লাশ দাফন এবং টিকা কার্ড নিয়ে টিকার জন্য যাওয়া) ব্যতীত কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। তবে শুধুমাত্র খোলা থাকবে শিল্প কারখানা। এসব জায়গার শ্রমিকদের পরিবহন করা হবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা এবং খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়েছে, কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে।
এর আগে ৫ থেকে ১১ই এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেয়া হলেও সেটি মোটেও কার্যকর হয়নি। পুলিশের তরফ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে , বুধবার থেকে কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ভোরে বিভিন্ন চেকপোস্টে দেখা গেছে রাস্তায় চলাচলকারীদের কাছে পুলিশ ‘মুভমেন্ট পাস’ দেখতে চায়নি।