রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১১ এপ্রিল, ২০২১ ১০:১৮ : পূর্বাহ্ণ
মিয়ানমারে দমনপীড়ন আর হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে জান্তা বাহিনী। গেল শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে অন্তত ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে বাগো শহরের এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। নিরাপত্তা বাহিনী মরদেহগুলো জিয়ার মুনি প্যাগোডায় স্তূপ করে স্থানটি ঘিরে রেখেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেছেন, সৈন্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছিল এবং নড়াচড়া করে এমন যেকোন কিছুর ওপরই গুলি চালিয়েছে।
বাগো শহরের বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক ইয়ে তুত দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউকে বলেন, ‘এটা গণহত্যা ছাড়া কিছু নয়। প্রতিটি জায়গায় গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয়।’
ইয়াঙ্গন শহরের কাছে বাগো শহরে এই সহিংসতা শুক্রবার ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে, কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছাতে পুরো এক দিন লেগেছে। কারণ শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল।
মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল।
সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজন ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটা গণহত্যার মতোই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।’
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় হতাহতের হিসাব রাখার কাজ করে এএপিপি। তারা এর আগে ৬১৮ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছিল।
তবে তাদের এই হিসাবের সঙ্গে জান্তা সরকারের তথ্যের গরমিল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানী নেপিদোতে জান্তা মুখপাত্র মেজর জেনারেল জো মিন তুন বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৪৮ বেসামরিক লোক ও ১৬ পুলিশ নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কোনো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন।
সূত্র: রয়টার্স ও বিবিসি