সোমবার, ১ জুলাই, ২০২৪ | ১৭ আষাঢ়, ১৪৩১ | ২৪ জিলহজ, ১৪৪৫

মূলপাতা জাতীয়

১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ প্রস্তুতি, প্রজ্ঞাপন জারি সোমবার


নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১১ এপ্রিল, ২০২১ ১০:০০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। লকডাউন সফল করতে কাজ শুরু করেছে সরকার। এরই মধ্যে গতবারের মতোই ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ নিজ জেলার রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করবেন।

১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাস্তবায়নে এক সপ্তাহের সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসতে পারে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে এ বিষয়ে বিধিনিষেধ জানা যাবে প্রজ্ঞাপনে। লকডাউন ঘোষণার প্রজ্ঞাপন সোমবার (১২ এপ্রিল) জারি করা হতে পারে।

আজ রোববার (১১ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে বলেন,  সর্বাত্মক লকডাউনে সাধারণ ছুটির ঘোষণা আসছে। আপাতত এক সপ্তাহের হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় পরে এটি আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোরও চিন্তাভাবনা আছে। সাধারণ ছুটির মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ রাখাসহ অন্যান্য কী কী বিধিনিষেধ থাকবে, সেটি নিয়ে এখন কাজ চলছে। প্রজ্ঞাপনে এসব বিষয় স্পষ্ট করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়তে থাকায় সারা দেশে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়। সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। শপিংমল ও দোকান বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও গার্মেন্ট খোলা রাখা হয়। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়। অফিস খোলা থাকায় লকডাউনের প্রথম দিনই অফিস করতে আসা লোকজনকে বিপাকে পড়তে হয়। এ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। ফলে বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালুর অনুমতি দেয় সরকার। পরে শুক্রবার থেকে শপিংমলও দোকানপাটও খোলার অনুমতি দেয় সরকার।

পরে চলমান লকডাউনের ধারাবাহিকতা ১২ ও ১৩ এপ্রিলও চলবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

চলমান এই ঢিলেঢালা লকডাউন নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, যে কারণে দুই দফায় বিধি-নিষেধ শিথিল করে সরকার। এরপর আগামী বুধবার অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল থেকে অপেক্ষাকৃত কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউনের কথা বলা হয়।

সরকারি সূত্রমতে, ১৪ এপ্রিল থেকে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন ও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে গার্মেন্টসসহ শিল্প-কারখানা খোলা থাকবে। জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে।

টানা সাত দিনের ‘সর্বাত্মক’ লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলও বন্ধ রাখা হবে। রোববার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এর মেয়াদ বাড়ানো হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

গত বছর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হয়েছিল। প্রথমে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি হয়। প্রথমে জরুরি সেবা ছাড়া প্রায় সবকিছু বন্ধ থাকলেও একপর্যায়ে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানাসহ কিছু কিছু বিষয় খুলে দেওয়া হয়েছিল।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর