নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা প্রকাশের সময় :১১ এপ্রিল, ২০২১ ৫:২০ : অপরাহ্ণ
অবশেষে বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার করোনা থেকে মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আজ রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে আজ দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার খবর প্রচার হয়। খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার একটি রিপোর্টের কপিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু তখন বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ফেসবুকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের অনেকে পোস্ট দিয়ে খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুয়া বলে দাবি করেন।
এই অবস্থায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ধোঁয়াশা দূর করেছেন। তিনি এটাও নিশ্চিত করেন, খালেদা জিয়া সুস্থ ও ভালো আছেন।
মির্জা ফখরুল জানান, শনিবার রাতে বেগম জিয়ার নমুনা নেওয়া হয়েছিলো। রেজাল্ট পজিটিভ এসেছে। প্রফেসর ড. এফ এম সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে। শারীরিক অবস্থা স্ট্যাবল আছে। তার জ্বর নেই। অন্য কোনো উপসর্গও নেই। যদি অতিরিক্ত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার বাসায় আরও কেউ করোনা আক্রান্ত কি না জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। কিছুদিন পর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে গত বছরের ২৫ মার্চ পরিবারের আবেদনে তাকে শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জামিনে মুক্তি দেয় সরকার, যা তিন দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুধুমাত্র তার পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ দেখা করতে পারেন না। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অস্টিও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন।