শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আন্তর্জাতিক

মিয়ানমারে রক্তের বন্যা, নিহত ৬০


Myanmar Army and police gather during a demonstration against military coup in Kyauk Myaung Township, Yangon, Myanmar, Saturday, April 3, 2021. Threats of lethal violence and arrests of protesters have failed to suppress daily demonstrations across Myanmar demanding the military step down and reinstate the democratically elected government. (AP Photo)

রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১০ এপ্রিল, ২০২১ ১০:২০ : পূর্বাহ্ণ

রাতভর গুলি। মিয়ানমারের মধ্যঞ্চলীয় শহর বাগো’তে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। প্যাগোডার ভিতর লাশের স্তূপ। স্কুল চত্বরে লাশ। রাতের অন্ধকারেই সেসব মৃতদেহ সরিয়ে নিচ্ছিল সামরিক জান্তার আজ্ঞাবহরা।

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গতকাল শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় তাদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬০ জন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।

জানা যায়, ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা নিহত সবার মরদেহ সংগ্রহ করতে পারেনি। মরদেহগুলো বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অনলাইন রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ এবং সেনাবাহিনী বাগো শহরের ওথার থিরি ওয়ার্ডের রাস্তায় বৃষ্টির মতো বুলেট ও গ্রেনেড ছুড়েছে। এই শহরে বসবাস করেন আড়াই লাখ মানুষ। ওই শহরে অভ্যুত্থানবিরোধীরা রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছিল। সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে জনতার ওপর গুলি চালায় তারা।
বিক্ষোভকারীদের দমনে জান্তা বাহিনী বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টারের ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন জানত ওরা আসবে এবং এর জন্য রাতভর অপেক্ষা করছিল। সেনারা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এমনকি আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিরগান থেকে প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলির পাশাপাশি সেনারা গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করছিল বলা হচ্ছে।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, রাস্তা ফাঁকা করতে সাধারণ পথচারীদের দিকেও গুলি করেছে সেনারা।

আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তারা রাত ৮টা পর্যন্ত মাত্র তিনটি মরদেহ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। বাকিগুলো সেনারা নিয়ে গিয়ে জেয়ামুনি প্যাগোডা এবং কাছাকাছি একটি স্কুলে জড়ো করেছে।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাতে প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৬৫০ জন। থাইল্যান্ডভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স-এর (এএপিপি) হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার নাগাদ মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন ৬১৮ জন। সামরিক জান্তার বন্দিশিবিরে অবস্থান করছেন ২ হাজার ৯৩১ জন।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর