শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ৯ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

লকডাউন ভাঙায় যুবককে লাঠিপেটা, থানা ঘেরাও, এসিল্যান্ড অফিসে ক্ষোভের আগুন


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৬ এপ্রিল, ২০২১ ১২:২১ : পূর্বাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন ভেঙে বের হওয়া এক ব্যক্তিকে প্রশাসনের লোকজন লাঠিপেটা করার অভিযোগে পুলিশের উপর হামলা, থানা ঘেরাও ও এসিল্যান্ড অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। উত্তেজিত জনতার হামলায় মিজানুর রহমান নামে পুলিশের একজন এসআই গুরুতর আহত হয়েছেন ।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফোকরাবাজারে জাকির হোসেন নামে স্থানীয় এক যুবক লকডাউন ভেঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামনি তাকে ফিরে যেতে বলেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা প্রশাসনের এক কর্মচারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন জাকির।

স্থানীয়দের অভিযোগ, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে জাকিরকে প্রশাসনের লোকজন মারধর করেন। এতে তার কোমর ভেঙে যায়।

জাকির হোসেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, কিছু বুঝে উঠার আগেই এসি ল্যান্ডের গাড়ি থেকে নেমে এক ব্যক্তি তার মাজায় সজোরে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে তার মাজা ভেঙ্গে যায়।

আহত জাকির হোসেনকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাকির হোসেনকে মারধর করার খবরে সেখানে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠে। স্থানীয় লোকজন এসিল্যান্ডের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।

সালতা থানার এসআই মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা তাদের উপর হামলা করে। এতে এসআই মিজানুর রহমানের মাথা ফেটে যায়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা থানা ঘেরাও করেন। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।

এরপর রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা এসিল্যান্ড অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে সেখানে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়।

সালতা থানার ওসি আশিকুজ্জামান জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর