রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৩১ মার্চ, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
‘ব্যাংকে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে। আমার পকেটে রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে। আমাকে ২০ লাখ টাকা না দিলে বোমার বিস্ফোরণ হবে।’- এমন হুমকি দিয়ে এক যুবক চট্টগ্রাম নগরীতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিম্মি করার চেষ্টা করেন। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ব্যাংকের আশেপাশে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ব্যাংকে ছুটে আসে বোম্ব ডিসপোাল ইউনিটসহ পুলিশের সোয়াত টিম ও র্যাব । অভিযানে ওই যুবককে আটক করা হয়। কিন্তু ব্যাংকে কোনো বোমার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই যুবকের প্যান্টের পকেটে রিমোট কন্ট্রোলের নামে ছিল একটা বডিস্প্রে!
আজ বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নগরীর নেভি হাসপাতাল গেইট এলাকায় ট্রাস্ট ব্যাংকে এই কাণ্ড ঘটে। আটক হওয়া তারেকুল ইসলাম (২৫) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের মুফিজুর রহমানের ছেলে। এই যুবক অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।
নগর পুলিশের বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) অলক বিশ্বাস রাজনীতি সংবাদকে জানান, বিকেল চারটার দিকে ওই যুবক ব্যাংকে ঢুকে বসে থাকে। বিকেল পাঁচটার দিকে সে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বোমার রিমোট কন্ট্রোলের ভয় দেখিয়ে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বলেন, ব্যাংকে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছে। এরপর সে বোমা বিস্ফোরণের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রথমে বিষয়টি এতোটা গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু সে যখন বারবার বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিচ্ছিলো তখন তারা একপর্যায়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বোম্ব ডিসপোাল ইউনিট ও সোয়াট টিমের সদস্যরা এসে প্রথমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বের করে পরে ওই যুবককে আটক করে। তার প্যান্টের পকেটে ছিল মূলত একটা বডিস্প্রে। ব্যাংকের কোথাও কোনো বোমা ছিল না।
আটক তারেকুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
এক বছর আগে কাতার থেকে দেশে ফিরে আসা এই যুবক আর্থিক অনটনের হতাশা থেকে এমন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিসি অলক বিশ্বাস।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক জানায়, সে সকাল থেকে ব্যাংকের সামনে ঘুরোঘুরি করেছিল। ব্যাংক গ্রাহকরা টাকা নিয়ে ঢুকতে ও বের হতে দেখে তার মধ্যে লোভ ঢুকে যায়। একপর্যায়ে সে ব্যাংকে ঢুকে। সেখানে প্রায় একটা ঘন্টা বসে তার মাথায় প্রতারণার চিন্তা আসে।
এই যুবকের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা কররা হবে বলে জানান এডিসি অলক বিশ্বাস।