মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা জাতীয়

বাংলাদেশের যে কোনো সমস্যায় পাশে থেকেছে ভারত: শেখ হাসিনা



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৬ মার্চ, ২০২১ ৭:১৫ : অপরাহ্ণ

বাংলাদেশের যে কোনো সমস্যায় ভারত পাশে থেকেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা তা কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি।’

আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার ২০২০-এ ভূষিত করায় ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নিত হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈন্যদের অত্যাচারের মুখে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রায় এক কোটি শরণার্থীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র, গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রই নয়; ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ঐতিহ্যগত এবং ভৌগোলিক সেতুবন্ধ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে ভারতের সরকার এবং সে দেশের জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছেন।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা এবং তার পরবর্তী দুঃসময়ে ভারতের ভূমিকা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের জনগণ এবং সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দুই বোন জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যাই। আমাদের দেশে ফিরতে বাধা দিলে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ি। আমার পরিবার এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানাকে ভারত সরকার আশ্রয় দেয়।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারপ্রধান বলেন, ‘ভারত এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ দেশ। একটি স্থিতিশীল এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে হলে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।’

গত ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বাঙালির এই দুই ঐতিহাসিক উদযাপন অনুষ্ঠান আজ (২৬ মার্চ) শেষ দিন। ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালাতে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও দেশের সরকারপ্রধান অংশ নিয়েছেন। করোনার কারণে আসতে না পেরে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। এছাড়া শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর