রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৪ মার্চ, ২০২১ ১১:০০ : পূর্বাহ্ণ
শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ একটি দক্ষিণ এশিয়া গড়তে রাজনৈতিক নেতা ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ভুটান যেদিন স্বীকৃতি দেয় সেদিনের কথা কখনো ভুলব না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভুটানই প্রথম দেশ, যে নাকি স্বাধীন বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়লাভের আগেই ৬ ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।ভুটান যখন বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছিল তখন আমরা বন্দি শিবিরে ছিলাম। তখনও বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় হয়নি। সেদিন যখন আমরা রেডিওতে শুনতে পেলাম সেটা আমাদের জন্য হাসি-কান্নায় অনন্য দিন ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভুটান আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র। ভৌগোলিক নৈকট্য ছাড়াও আমাদের রয়েছে প্রায় একই ধরনের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা এক এবং অভিন্ন। ৭১ সালেও ভুটান আমাদের পাশে ছিল। এমনকি শরণার্থী শিবিরে ভুটানের জনগণ আমাদের পাশে ছিলেন। দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক বহু প্রাচীন। দশম শতাব্দীতে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণকারী বৌদ্ধ ধর্মগুরু মহাসিদ্ধ তিলোপা তিব্বত-ভুটানে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যদি আমাদের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এ বিশ্বাস আমাদের আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যই লড়াই করেননি। তিনি বিশ্বের সব নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তিনি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।