রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ মার্চ, ২০২১ ৬:৪৫ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, আমাকে কাঁদানোর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমাকে ভেঙে ফেলতে পারবে কিন্তু মচকাতে পারবে না।’
আজ রমঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নিজের ফেসবুক লাইভে তিনি এই কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা আত্মহত্যা করার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি, গত সংসদ নির্বাচনে যেভাবে সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রাতের অন্ধকারে তার বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) অসুস্থ বলে ভর্তি করা হয়েছিল। আমার বিষয়েও সে ধরনের একটা ষড়যন্ত্র চলছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি দেশবাসীকে জানিয়ে দিচ্ছি, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আমি সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যা করব। আমি অসত্যের কাছে মাথা নত করবো না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের (বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য) মৃত্যুতে একটি শোকসভার আয়োজন করেছিলাম। ডিআইজির নির্দেশে পুলিশ তা করতে দেয়নি। ৭২-এ সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের সহযোগী ছিলেন তিনি (মওদুদ)। যে মানুষটি বলেছিলেন-১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে না আসতেন, তাহলে মিত্রবাহিনী কখনো ভারতে ফিরে যেতো না।’
গত ৯ মার্চ বসুরহাটে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএনজিচালক আলা উদ্দিনের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলা উদ্দিন হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। একজন মানুষকে মারতে ১৬৪ জনের প্রয়োজন হয় না। এই মামলায় আমার নিরীহ কর্মী, আমার সন্তান ও ভাইকে বাদ দিয়ে আমাকে জড়ান। আমি যদি এই হত্যায় জড়িত থাকি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমার ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া ছেলে ঢাকায় পরীক্ষা দিচ্ছিলো। তাকেও হত্যা মামলায় জড়িত করা হয়েছে। আমি নেত্রীকে (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছি, এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার বা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এটা দুঃখজনক।’
এক দেশে দুই আইন চলে কি না প্রশ্ন তুলে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার ছেলেদের জামিন হয় না, আর তারা (প্রতিপক্ষ) জামিন নিয়ে এসে আমার ছেলেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আজকে কোথায় মানবাধিকার সংস্থা?’
ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন, কেউ যদি অধম হয়, আমি কেন উত্তম হবো না; ‘শরম যদি লাগে গো ঘোমটা দিয়া হাঁট গো’। আমার সঙ্গে আল্লাহ, দলের ত্যাগী কর্মী ও সাধারণ মানুষ ছাড়া আর কেউ নেই। তবে আমি হতাশ নই, আমি তো আগেই বলেছি—‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’।’
কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রী প্রশাসনকে বলে দিয়েছেন যে—আমার সঙ্গে যেনো একটা লোকও থাকতে না পারে। সেই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এখন প্রশাসন থেকেও নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে। আমি এই দেশের মানুষের কাছে বিচার দেবো, আল্লাহর কাছে বিচার দেবো।’