রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৩ মার্চ, ২০২১ ৭:২০ : অপরাহ্ণ
দেশের জনগণকে বাদ দিয়ে সরকার বিদেশিদের নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সরকার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুর রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেলকে দেখার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই সুবর্ণজয়ন্তীর যে অনুষ্ঠানগুলো তারা করছে এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো অবস্থান নেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোরও কোনো অবস্থান নেই। শুধুমাত্র বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছে যে, আপনার উন্নয়নের লৌহরি বয়ে যাচ্ছে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এখানে কী সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে আসছেন নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার নির্বাচনী প্রচারণা করতে আসছেন– এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পশ্চিম বাংলার পত্রিকাগুলো, ভারতের পত্রিকা, আমাদের দেশের পত্রিকাগুলোতে সেই ধরনের ইঙ্গিতই আমরা পাচ্ছি। মূলত তার (নরেন্দ্র মোদি) এই ভিজিটের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সেই সমস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করবেন যেই সমস্ত মন্দিরগুলোতে তাদের যে অনুসারী রয়েছে, তাদের যে ভোট পশ্চিম বাংলায় রয়েছে সেই ভোটের জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। এটা পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বরাবরই বলে এসছি যে, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে অভিন্ন নদীগুলো রয়েছে তার হিৎসা মীমাংসা হওয়া উচিত, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। কানেকটিভিটিতে আমার কী লাভ হচ্ছে সেটা জনগণের কাছে স্পষ্ট হওয়া উচিত। এই কথাগুলো আমরা বরাবরই বলে আসছি। পানির কোনো রকমের সমস্যা… তিস্তা নদীর চুক্তি হচ্ছে না, ফেনী নদীর পানি একতরফাভাবে নিয়ে গেছে। সেতুও তৈরি হচ্ছে কানেকটিভিটিতে। অথচ আমাদের মৌলিক সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হচ্ছে না। আমরা এখনো প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশ সরকার আমাদের দাবিগুলোকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে আমাদের কোটি কোটি মানুষের সমস্যার সমাধান করবেন।’