রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ মার্চ, ২০২১ ৯:৩০ : পূর্বাহ্ণ
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম স্বাধীন ওরফে স্বাধীন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত তিনটার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মো. খালেদ উজ জামান।।
তিনি জানান, নোয়াগাঁও গ্রামে হামলার মূল হোতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে পিবিআই কুলাউড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে।
গত বুধবার (১৭ মার্চ) হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৭টি হিন্দুবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় এসব বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার লুট হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে দিরাইয়ের তাড়ল ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে।
শহীদুল ইসলাম স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্বর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশির ভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীন মেম্বারও হামলাকারীদের দলে ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই হামলা হয়।
স্বাধীন মেম্বারের সাথে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে মামুনুল অনুসারীদের সঙ্গে তিনি এই হামলায় অংশ নেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে ফেইসবুকে পোস্ট দেন এক হিন্দু যুবক। তার দেয়া স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জেরে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে এলাকাবাসী ওই যুবককে আটক করে পুলিশের সোপর্দ করে। পরে ওই রাতেই প্রতিবাদ মিছিল করে এলাকাবাসী। পরদিন ১৭ মার্চ সকালে ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় শাল্লা থানার পুলিশ অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে।