সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিপুর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের হামলা-লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সেখানে যাচ্ছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক।
জানা গেছে, আগামী ২১ মার্চ দুপুরে হেলিকাপ্টার করে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় খাবিনুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার এক সম্মেলনে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
এই সম্মেলনের পোস্টারে অনুমতি ছাড়া নাম ব্যবহার করার কারণে ক্ষিপ্ত হয়েছেন জামালগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাতে থানায় জিডি করেছেন।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল আলম জানান, আগামী ২১ মার্চে মহিলা মাদ্রাসায় মামুনুল হক আসছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজলো আওয়ামী লীগের সভাপতি থানায় একটি জিডি করেছেন। সেখানে উল্লেখ করছেন তাকে না জানিয়ে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ উনার নাম পোস্টারে লিখে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এ দিকে মামুনুলের অনুসারীদের তাণ্ডবে এখনো আতঙ্কিত হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামবাসী। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গ্রামে অস্থায়ী র্যাব ও পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এরই মাঝে আবারও হেফাজতের সম্মেলনের ডাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মামুনুল হকের সমর্থকরা গত ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ টি বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এসময় গ্রামের ৫ টি মন্দির ভাংচুর করা হয়। নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার সকাল ৯ টায় এই তাণ্ডব চালানো হয়। এর আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাই স্টেডিয়ামে হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বক্তব্য দেন। এসময় ধর্মীয় উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা।