সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১১ জিলকদ, ১৪৪৫

মূলপাতা বিএনপি

সভা-সমাবেশ বন্ধ করা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী: রিজভী


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৭ মার্চ, ২০২১ ২:০৫ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ বুধবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে চেতনার কথা বলে তার সঙ্গে স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। সম্পর্ক নেই বলেই তো ১৭ থেকে ২৬ মার্চ সব সভা-সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। এটা তো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি কাজ। স্বাধীনতা মূল কথা হচ্ছে- মানুষের অধিকার সংরক্ষণ করা। মানুষ তার কথা বলবে নির্ভীক চিত্তে, এই নিশ্চিয়তা দেওয়া। কিন্তু ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের নাগরিক অধিকারে বিশ্বাস করে না। তাই তারা ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ সব কিছু বন্ধ করেছে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নিজের পরিবার-পরিজন, সন্তানের কথা চিন্তা না করে নিজের পাকিস্তানি কমান্ডারকে হত্যা করে যে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, আর সেই জিয়াউর রহমানকে তাঁরা বলছেন, ২৫, ২৬ মার্চ ব্যারিকেড দেওয়া বাঙালিদের হত্যা করেছে। এটা শুধু মিথ্যা নয়, এটা জলজ্যান্ত জঘন্য অপপ্রচার। তাদের কাছে ন্যায়নীতি ও সত্যের কোনো দাম নেই।’

বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ‘ফুলটাইম রাজনীতিবিদ’ ছিলেন উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমাদের অনেকেই আছেন পার্টটাইম রাজনীতিবিদ, পার্টটাইম ব্যবসায়ী। কিন্তু খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন ফুলটাইম রাজনীতিবিদ। নেতাকর্মী এবং জনগণের সঙ্গে একটা সংযোগ তৈরি হওয়ার ব্যক্তিত্ব হলেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। এমনিতে মনে হবে একরোখা, নিজের নীতির প্রশ্নে অটল, আপোষ করেন না। আবার তাঁর সঙ্গে মিশলে মনে হবে, একবারে তুলতুলে নরম মনের মানুষ। এক-এগারতে দুজন সেনা অফিসার তার বাসায় গিয়ে হুমকি দেন। তিনি ঠাণ্ডা মাথায় তা হজম করেন। পরদিন খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপি গঠন করা হবে, সেখানে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর করতে হবে। খোন্দকার দেলোয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলেন, হাসপাতাল থেকে তিনি উধাও হয়ে গেলেন। এই যে অসাধারণ কৌশল একজন রাজনীতিবিদের। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন এই ধরনের ধ্রুপদী চরিত্রের একজন মানুষ।’

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর