রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৫ মার্চ, ২০২১ ১১:০০ : পূর্বাহ্ণ
স্থানীয় সরকারের পর এবার জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনে অংশ না-নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। ফলে ১১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না দলটি।
গতকাল রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লক্ষীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যেহেতু নির্বাচন কমিশন সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনায় অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে এবং সরকার নির্লজ্জ্বভাবে সকল নির্বাচনগুলোতে বেআইনী হস্তক্ষেপ করছে, সেহেতু বিএনপি আপাতত এই সকল নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া না-নেওয়াসহ ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতাই আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, বিগত দিনে সব নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগণের সামনে বিএনপি স্পষ্ট করেছে যে, এই সরকারের অধীন নির্বাচনে গেলে কী হতে পারে। এখন মানুষই প্রশ্ন তুলছে-কেন আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি। তাই এ সরকার ও ইসির অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ না-নেওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান ওই নেতা।
দলীয় সূত্র মতে, ‘নিরপেক্ষ ও বিতর্কমুক্ত নির্বাচন’ অনুষ্ঠানে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ন্যূনতম আগ্রহ না থাকায়, এসব নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো ফায়দা দেখছে না বিএনপি। বরং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্রুত আরেকটি জাতীয় নির্বাচন ইসুতে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলা ও ক্রমান্বয়ে আন্দোলনের মাঠে সোচ্চার হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দলটি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেওয়া এক নেতা বলেন, পরপর তিনটি সংসদ নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন। তবে সেই পরিস্থিতি আমরা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। সংগঠনকে নতুন করে শক্তিশালী করা হচ্ছে। শিগগিরই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। আমরা নেতাকর্মীদের ধীরে ধীরে জাগিয়ে তুলছি।