রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ মার্চ, ২০২১ ৫:০০ : অপরাহ্ণ
দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল নগরীর লালখান বাজার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। প্রায় দুই দশক পর সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।
২০০১ সালের ১৪ জুলাই নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছিল। এটি ছিল মহানগরে সংগঠনের প্রথম কমিটি।
গত প্রায় ২০ বছর ধরে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়নি। নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়াউদ্দিন, তিন যুগ্ম আহ্বায়ক- কে বি এম শাহজাহান, সালাউদ্দিন আহমেদ ও আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্যরা কাগজ-কলমে এখনো পদ আঁকড়ে আছেন।
নগরীতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড সচল থাকলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই। গত ২০ বছরে সংগঠনটিতে জং ধরেছে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা। এ অবস্থায় নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র।
দলীয় সূত্রের খবর, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এবার ১০১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের নিয়ে গঠিত সাবজেক্ট কমিটি ভোটের মাধ্যমে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। সাবজেক্ট কমিটি গঠনের জন্য নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও ১৫ থানা থেকে দুইজন করে কাউন্সিলর নির্বাচন করা হবে। এছাড়া সম্মেলনে কমিটির অতীব গুরুত্বপূর্ণ অন্তত আরও ৫-১০টি পদে সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হতে পারে।
সম্মেলনে কীভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে?
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এইচ এম জিয়াউদ্দিন রাজনীতি সংবাদকে বলেন, কেন্দ্রের সম্মতি নিয়ে সম্মেলনে আমরা নেতৃত্ব নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সাবজেক্ট কমিটির মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। কাউন্সিলরদের নিয়ে এই সাবজেক্ট কমিটি হবে। এ লক্ষ্যে আমরা প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের কমিটি থেকে দুজন করে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিংবা আহ্বায়ক-যুগ্ম আহ্বায়ক) কাউন্সিলর নির্বাচন করবো। কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানা-ওয়ার্ডের কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও যারা সক্রিয় আছে তাদের মধ্যে থেকে কাউন্সিলর নির্বাচন করা হবে।
সম্মেলনে নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ও তিন যুগ্ম আহ্বায়ক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানান তিনি।
দলীয় সূত্রের খবর, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে লড়াইয়ে অন্তত এক ডজনেরও বেশি নেতা রয়েছেন।
এদের মধ্যে আলোচনায় আছেন-এডভোকেট তসলিম উদ্দিন, আজাদ খান অভি, শাহেদ আলী রানা, ইসলামিয়া কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান আজিজ, লালখান বাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, দেবাশীষ নাথ দেবু, সুজিত দাশ, হেলাল উদ্দিন, আবদুর রশিদ লোকমান, মনোয়ার জাহান মনি ও মো. জসিম উদ্দিন।
সম্মেলনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিদের কীভাবে বাছাই করা হবে?
নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কে বি এম শাহজাহান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য একাধিক প্রার্থী থাকলেও আমরা কিছু মানদণ্ড নির্ধারণ করবো। এই মানদণ্ডে যারা বিবেচিত হবে তারাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে। তাদের কাছে ফরম বিতরণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবো।
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিগত সময়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মকাণ্ডে যারা সক্রিয় ছিল তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অগ্রাধিকার পাবে।