বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা আওয়ামী লীগ

কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কাদের



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১০ মার্চ, ২০২১ ৮:০৬ : অপরাহ্ণ

নিজের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। বিশৃঙ্খলার সাথে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের পরিচয় না দেখে আইনের আওতায় আনা হবে।’

আজ বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিসহ আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই এবং বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সাথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষ হয়।

ঘটনাটিকে অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের আইজি, র‌্যাবের ডিজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা হয়েছে। আইন সমানভাবে প্রযোজ্য, ইতিমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযান চলছে।’

শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনকে কারো অপকর্মের জন্য ম্লান হতে দিতে পারি না মন্তব্য করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুঃখজনক ঘটনার বিচার কাজ তদন্ত করে রিপোর্ট গঠনের জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, রিপোর্ট এলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বেশ কিছুদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকায় জনজীবন অস্থিরতা বিরাজ করছিল। সরকার এখন কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করছে। তাই আশা করা হচ্ছে শিগগির জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে নাকি ৭ মার্চের আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় মিথ্যাচার করেছেন’-এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেননি বরং জাতির সামনে ইতিহাসের প্রমাণিত সত্য তুলে ধরেছেন। বিএনপি কখনো সত্য শুনতে চায় না, তাই ঐতিহাসিক সত্য প্রকাশে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।

জিয়াউর রহমান নাকি ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হতো না-বিএনপি মহাসচিবের এমন অসত্য প্রলাপে তিনি বলেন, ‘তার এই বক্তব্যও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির শামিল। এ ধরনের মিথ্যাচার বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ।’

বিএনপি জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা আর ঘোষণা পাঠ করা এক কথা নয়। পাঠক কখনো ঘোষক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা পাঠকারীদের মধ্যে একজন। জিয়াউর রহমান দেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির জনক।’

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর