রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চট্ট-মেট্টো

চট্টগ্রাম কারাগার থেকে হাজতি লাপাত্তা: জেলারকে প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম প্রকাশের সময় :৭ মার্চ, ২০২১ ১:০০ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার আবু সাদ্দত
Rajnitisangbad Facebook Page

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাজতি লাপাত্তার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে জেলার ও ডেপুটি জেলারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সাথে দুই কারারক্ষীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া জেলার রফিকুল ইসলামকে কারা অধিদফতরে এবং ডেপুটি জেলার আবু সাদ্দতকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া দুই কারারক্ষী হলেন-মো. নাজিম উদ্দিন ও মো. ইউনুস। সহকারী প্রধান কারারক্ষী কামাল হায়দারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে খুলনা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক ছগির মিয়াকে। অন্য দুই সদস্য হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের সুপার ইকবাল হোসেন ও বান্দরবান জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার ফোরকান ওয়াহিদ। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন জানান, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে তল্লাশি করেও গত ৩০ ঘন্টায় নিখোঁজ হওয়া হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেলের সন্ধান মেলেনি। কারা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

শনিবার (৬ মার্চ) রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিখোঁজ হাজতি ফরহাদ হোসেন রুবেল কারাগারের পঞ্চম তলার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। শনিবার ভোর সোয়া পাঁচটা থেকে ছয়টার মধ্যে রুবেল লাপাত্তা হয়ে যান।

এর আগে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান কোতোয়ালী থানায় একটি জিডি করেন।

কারা কতৃপক্ষ জানায়, নিখোঁজ বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেল নগরীর সদরঘাট থানার একটি খুনের মামলার আসামি। তার বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মীরেরকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম শুক্কুর আলী ভাণ্ডারি। গত ৯ই ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারের পর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারের ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের পানিশমেন্ট ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল তাকে।

নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন সকালে কারাগারে থাকা বন্দিদের সংখ্যা মেলাতে গণণা করা হয়। শনিবার সকালে গণনাকালে বন্দি ফরহাদ হোসেন রুবেলের (হাজতি নম্বর: ২৫৪৭/২১) অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এ ঘটনার পর বিকেলে নিখোঁজ বন্দির সন্ধানে চট্টগ্রাম কারাগারে বাজানো হয় ‘পাগলা ঘণ্টা’। নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও হদিস মেলেনি।

আরও পড়ুন:

চট্টগ্রাম কারাগার থেকে খুনের আসামি লাপাত্তা

চট্টগ্রাম কারাগারের সিসি ক্যামেরায়ও নিখোঁজ হাজতির ফুটেজ নেই

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর