চট্টগ্রাম নগরীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ইমন রনি (২৭) নামে সংগঠনটির এক নেতা নিহত হয়েছেন। রোববার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগরের বাংলাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমন ওই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কলোনির বাসিন্দা নুর কাশেমের ছেলে। ইমন বায়েজীদ থানা ছাত্রলীগের পাল্টা আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
দলীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, বায়েজিদ এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গত এক বছর সময় ধরে ইমন রনির অনুসারীদের সাথে পিস্তল সোহেল গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দুই পক্ষই নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। একাধিকবার তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল।
স্থানীয় দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে ইমনসহ তার কয়েকজন বন্ধু বায়েজিদ থানার আরেফিন নগর এলাকায় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে অতর্কিত তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ইমনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে ইমনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বায়েজিদ জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শাহ আলম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সোহেল গ্রুপ ও রিপন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ছুরিকাঘাতে একজন আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে ইমন হোসেন নিহত হয়েছেন।