রাজশাহীতে বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তাতে খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশ-বিদেশে বিস্তৃত। তাদের বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।’
আজ (৫ মার্চ) শুক্রবার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এর কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হয়নি, তাহলে কি ধরে নেব এটি বিএনপির দলীয় বক্তব্য? জনগণ আশা করে বিএনপি এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট করবে।’
‘সরকার নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে’ বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির এমন হুমকি-ধামকি আমরা বছরের পর বছর শুনেছি। তাদের আন্দোলন এবং সরকার পতনের ঘোষণার এরই মধ্যে একযুগ পূর্তি হয়ে গেছে। জনগণ এখনও রাজপথে কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি সরকার পরিচালনায় একাধিক বিকল্প ক্ষমতাকেন্দ্র তৈরি করেছিল। এখনও তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অন্ধ বিরোধিতা করছেন, আইনটির যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কি না, সে বিষয়টির প্রতি সরকার কড়া নজর রাখছে। আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে। বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে অথচ ৭৫ এর হত্যাকান্ডর পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির পিতার খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।’
