রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৪ মার্চ, ২০২১ ১:২০ : অপরাহ্ণ
বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছে সরকার। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন বা লেখার কারণে সাত বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয়েছে আমাদের (বিএনপি)।’
আজ (৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদলের এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যু ও জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা ওই দিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার অনির্বাচিত সরকার। তাদেরকে জোর করেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্যই এই ধরনের সম্পূর্ন গণবিরোধী আইন তারা তৈরি করেছে, যে আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এই সমাবেশ থেকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দাবি করছি। আমাদের যেসব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরও মুক্তির দাবি করছি।’
এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারকে সরাতে হবে এই কারণে যে, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আমাদেরকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই সরকারের পতন হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নয়ন, কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।