প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বে এখন মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। আমাদের অগ্রযাত্রা কেউ থামিয়ে দিতে পারবে না। করোনাভাইরাস যখন পারেনি, আর কেউ পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস।’
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘সামরিক শাসকরা নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থেকেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করেছে। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় ছিল তারা শিক্ষার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি করেছে। শিক্ষাঙ্গণে অস্ত্রের ঝনঝনানি, শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র ও টাকা তুলে দিয়ে তাদের বিপথগামী করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে তাদের ব্যবহার করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বহুমুখী শিক্ষা ছাড়া দেশ কখনো উন্নত হয় না। সে কারণে সরকার বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। গবেষণার ফলে আমরা খাদ্য উৎপাদন করতে পেরেছি। অনেক বিদেশি ফল আমাদের দেশে হচ্ছে গবেষণার ফলে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারণে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।’
শিক্ষা গবেষণায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার জানিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে তরুণ গবেষকদের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রূপপুরের মত দক্ষিণাঞ্চলেও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কথা ভাবছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা, এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না। এই স্বাধীনতার সুফল বাংলার প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দেবো।’