রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :৪ মার্চ, ২০২১ ২:০০ : অপরাহ্ণ
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোন আশার কথা শোনাতে পারেননি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে আগের অবস্থানেই আছে দিল্লী। তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অবস্থানের পরিবর্তন হবে না।
আজ (৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের সীমান্তরক্ষীদের গুলিতে বাংলাদেশিদের নিহত হবার অব্যাহত ঘটনায় ড. জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিটি মৃত্যুই দু:খজনক। তার মতে, সীমান্তে অপরাধ যত কমবে এধরণের হত্যাও কমে যাবে ।
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর জায়গায় পৌঁছেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব আরও জোরালো হয়েছে। বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে ভারত সবসময় বাংলাদেশের থাকবে।
জয়শঙ্কর বলেন, এ দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ আমাদের দেশের জন্যও অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ আমাদের কাছে শুধু একজন প্রতিনিধি না, বরং সারাবিশ্বের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। আমাদের সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমরা শুধু আলোচনার মাধ্যমেই যেকোনো সংকটের সমাধান করতে পারি।
উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজের কাজ ও যোগ্যতায় এটি অর্জন করেছে।
এ সময় জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশকে নিশ্চয়তা দিতে চাই, যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আর এ দুদেশের মধ্যে উন্নয়নকে কেন্দ্র করে অনেক সম্ভাবনা আছে। সেটা খুঁজে বের করতেই এ সফরে আসা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে দিল্লি থেকে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বিএএফ বাশার ঘাঁটিতে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে এস জয়শঙ্করের এ সফর।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এস জয়শঙ্কর। রাতেই দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন তিনি।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২৫ অথবা ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা আসছেন। ২৭ মার্চ তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।