রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ মার্চ, ২০২১ ৭:০০ : অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) হোস্টেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ১২টি কক্ষ ভাঙচুর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। আজ (২ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে গোয়াছিবাগান এলাকার মেডিকেল মেইন হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
পুলিশ জানিয়েছে, হোস্টেলের সিট বরাদ্দ নিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছেন, বেলা দুইটার দিকে হোস্টেলের দোতলার কয়েকটি কক্ষে অতর্কিত ভাঙচুর এবং কক্ষের আসবাবপত্র তছনছ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন দুই পক্ষ হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয় হোস্টেলের ভেতর। এক পক্ষ অপর পক্ষের কক্ষ ভাঙচুর শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
হোস্টেলের মাঠের মধ্যে ছাত্রদের বই, ব্যবহার্য জিনিসপত্র কাপড়চোপড়, বালিশ, প্যান্ট–শার্ট, ফ্যান পড়ে রয়েছে। এ ছাড়া মাঠের মধ্যে একটি হকিস্টিকও পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ঘটনার জন্য আ জ ম নাছির উদ্দীন ও মহিবুল হাসান নওফেলের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পরস্পরকে দায়ী করেন।
চকবাজার থানার ওসি (তদন্ত) রিয়াজ উদ্দিন রাজনীতি সংবাদকে জানান, হোস্টেলের সিট বরাদ্দ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। থানায় কেউ অভিযোগও করেনি।
এর আগে গত বছরের ১৩ আগস্ট চমেকের হোস্টেলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তখন দুই পক্ষকে ডেকে পৃথক ব্লকে ভাগ করে থাকতে কলেজ প্রশাসন নির্দেশ দেয়। এরপর আজ নতুন করে এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে দীর্ঘদিন ধরে একক আধিপত্য বিস্তার করে আসছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দিনের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল চমেক হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হওয়ার পর চমেকে তার সমর্থক ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এরপর থেকে চমেকে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের ১২ জুলাই চমেক ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন আহত হন। এ ঘটনায় নওফেলের সমর্থক এক ছাত্রলীগ নেতা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে নাছির অনুসারীরা আদালতে গিয়ে নওফেল অনুসারীদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছিলেন।