রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২ মার্চ, ২০২১ ৭:৩০ : অপরাহ্ণ
‘পুলিশকে প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছে কেন?’-পুলিশের আইজির এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমাদেরও তো একই প্রশ্ন। আপনি শিক্ষিত মানুষ, ব্রাইট অফিসার, সুদর্শন-আপনি কি একবারও প্রশ্ন করেছেন নিজেকে, পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ ভাবা হয়? কারা প্রতিপক্ষ ভাবছে? প্রশ্ন নিজেকেই করে উত্তর খুঁজে বের করুন।’
আজ (২ মার্চ) মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, সোমবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবে পুলিশ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ বানানো হয়? এই প্রশ্ন বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে যখন নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে পুলিশ ভোট দিয়ে দেয়, অন্য কাউকে দরকার হয় না। আজকে যখন রাজনৈতিক দলগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করতে যায়, তখন তাদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয়? আজকে কেন থানায় থানায় বলা হয়- দেশ তো আমরা চালাই। আমরা সরকার বানিয়েছি, আমরাই সবকিছুর ব্যবস্থা কবর?’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘উন্নয়ন এবং বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া বানানোর কথা বলে সব টাকা বিদেশে লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মূল বিষয় থেকে দৃষ্টি সরাতেই অন্য ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। উন্নয়নের কথা বলে সব লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা হয়েছে।’
বর্তমান সরকার সকলের অধিকার হরণ করেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শপথ আমরা নিয়েছিলাম, যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম, গত ৫০ বছরে সেই স্বপ্ন একটাও পূরণ হয়নি হয়নি। গত ৫০ বছরে আওয়ামী লীগ দেশকে শুধু বিভক্ত করেছে, সকলের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছি, তার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। কারণ, আজকে যারা ক্ষমতায় আছে, তারা কেবল তাদের নেতা ও ব্যক্তিদের কৃতিত্ব ছাড়া আর কারও অবদান স্বীকার করে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গতকাল শ্রদ্ধা জানিয়েছি শেরে বাংলা একে ফজলুল হককে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে, শেখ মুজিবুর রহমানকে। কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা জানাতে চাই জিয়াউর রহমানকে। যিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে এ দেশ স্বাধীনত হতো না, যিনি যুদ্ধ ঘোষণা না করলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব হতো না।’
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর প্রমুখ।