বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা অন্যান্য দল

ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে প্রগতিশীল জোটের বিক্ষোভ, সচিবালয় ঘেরাও



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ মার্চ, ২০২১ ৩:৩০ : অপরাহ্ণ

ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধার মুখে সচিবালয়ের কাছে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রজোট । লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করেছে বামপন্থী ছাত্র-সংগঠনগুলো।

জোটের নেতা-কর্মীরা আজ (১ মার্চ) সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন। দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী সহকারে মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে পুলিশের একটি দল তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দ্রুত মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে থাকেন ৷ সেখানে পুলিশের বাধায় মিছিলটি আর এগোতে পারেনি ৷ ডিপিডিসি ভবনের সামনে পুলিশের মুখোমুখি অবস্থানে থেকেই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোট। বেলা সোয়া একটার দিকে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা লেখক মুশতাকের মৃত্যুর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছি। মিথ্যা মামলায় আমাদের অনেককে আটক করা হয়েছে।’

রাশেদ শাহরিয়ার আরও বলেন, ‘যারা দেশের বাক্‌স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যারা এ সরকারের বিরোধিতা করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এভাবে আওয়ামী সরকার সারা দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করছে। আমাদের এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘আমরা এমন একটি রাষ্ট্রে বাস করছি, যে রাষ্ট্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হয়। আমরা এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাব। এই সরকার ছাত্রসমাজকে ভয় পায়। আমরা এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি যে, প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব।’

ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বাংলাদেশে দুঃশাসন চলছে। এর শিকার লেখক মুশতাক আহমেদ। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাদের সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছে। আর শ্রমিক নেতা রুহুল আমিন কারাগারে। আজকের পর আমরা আর কোনো বিক্ষোভ করব না। এরপর আমরা তালা ভেঙে ছাত্রনেতাদের নিয়ে আসব। ডিজিটাল আইন বাতিল করার জন্য আমরা নিজেদের জীবন দিয়ে দেব। তবুও আমরা এই আইন বাংলাদেশে চলতে দেব না।’

গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, ‘এই আইনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ লাগবে। আর সে প্রতিরোধকে গণঅভ্যুত্থানের দিকে নিয়ে যেতে হবে। এই আইন বাতিল না করা পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’

সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ইকবাল কবির বলেন, ‘কারাগারে লেখা থাকে, রাখিব নিরাপদ দেখাব আলোর পথ। লেখক মুশতাককে কী আলোর পথ দেখালেন জানি না। নিরবতা গেঁড়ে বসেছে। আমরা যদি নিরবতা না ভাঙতে পারি, তাহলে এ শাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে। আমাদের এ নিরবতা ভাঙতে হবে। এটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নয়, এটি লুটপাটের সুবর্ণজয়ন্তী।’

সংগঠনের পরবর্তী কর্মসূচি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে বলে জানান প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতারা।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর