রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৬:০০ : অপরাহ্ণ
কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছর। কিন্তু তাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে গত এক দশকে প্রাণহানি ঘটেছে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার অভিবাসী শ্রমিকের। যার মধ্যে বাংলাদেশের ১ হাজার ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
১০ বছর আগে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ সুযোগ পায় কাতার। এরপর থেকে প্রস্তুতিতে সেখানে দক্ষিণ এশিয়ার সাড়ে ৬ হাজারের বেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটিতে বিশ্বকাপ ঘিরে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার এই শ্রমিকরা নিয়োজিত ছিলেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের দীর্ঘ এক অনুসন্ধানে কাতারে প্রবাসী শ্রমিকদের এই প্রাণহানির বিষয়টি উঠে এসেছে। এশিয়ার এই পাঁচ দেশের সরকারি সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পর কাতারে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে- যারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি। এতে বলা হয়, ওই পাঁচ দেশের কাতারস্থ দূতাবাস ও অন্যান্য সরকারি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য মতে জানা গেছে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের ২,৭১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় বাংলাদেশের ১,০১৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন কাতারে। এই দশ বছরে নেপালের ১,৬৪১, পাকিস্তানের ৮২৪ ও শ্রীলংকার ৫৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে কাতারে। উল্লেখ্য, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। কেনিয়া ও ফিলিপাইনের অভিবাসী শ্রমিকদের পরিসংখ্যান ওই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হয়নি।
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য গত এক দশকে অভাবনীয় সব প্রকল্প হাতে নিয়েছে কাতার। এর মধ্যে সাতটা নতুন স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে। এ ছাড়া নতুন একটি বিমানবন্দরসহ নতুন রাস্তাঘাট ও আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
ফলে এত বড় বড় স্থাপনা ও উন্নয়নকাজের জন্য অসংখ্য কর্মশক্তির দরকার হয়েছে দেশটির। বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য এখন ২০ লাখ প্রবাসী শ্রমিক কাতারে অবস্থান করছেন।