রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২:০০ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে, বাংলাদেশেই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চাই। এক্ষেত্রেও সফল হব বলে বিশ্বাস করি। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা ও আকাশসীমা রক্ষা নিজেরাই যেন করতে পারি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরও ১০ ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছি।’
আজ (২৩ ফেব্রুয়ারি) মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। যশোরের বিমানবাহিনীর ঘাঁটি মতিউর রহমানে এই পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করছে। এই বাহিনী এখন ভূমি থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ চালাতে সক্ষম। সে জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ ও গবেষণা চালানোর উদ্যোগ নিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিমান বাহিনীর একটা গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় বিমান বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে তারা। সেসময় সীমিত শক্তি নিয়েও তারা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।’
নতুন ক্যাডেটদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কর্মদক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং দেশ সেবার স্বীকৃতি হিসেবে যে পতাকা আজ আপনারা পেয়েছেন তার মর্যাদা রক্ষায় এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন। যেন বাংলাদেশের মানমর্যাদা বৃদ্ধি পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।’
জাতীয় পতাকা পাওয়া বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা গৌরব ও সম্মানের। এ পতাকার মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব।’
এর আগে, যশোরের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রনকে অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য এবং সফল আক্রমাত্মক স্কোয়াড্রন হিসেবে ২১ স্কোয়াড্রনকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাহিনীর প্রধান জাতীয় পতাকা প্রদান করা হয়।