রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:০৪ : পূর্বাহ্ণ
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পিছু হটেছেন। আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এক মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ওই লাইভে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর রাজনীতিতে চলমান সংকট নিরসনের সবার আস্থার শেষ ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি নেত্রীর সিদ্বান্তের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে আমার ইতোপূর্বে ঘোষিত সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিলাম।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে শিগগিরই সব সমস্যার সমাধান ও কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাদের স্থান হবে বলেও আশা করেন তিনি।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের মির্জাকে গতকাল বিকেলে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর জেলা আওয়ামী লীগ সেই আদেশ আবার প্রত্যাহার করে।
কয়েকদিন ধরে কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি বন্ধ করা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে থানা ঘেরাও, হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের আগ থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনায় আসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। আর এ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।