রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:০০ : পূর্বাহ্ণ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উপজেলায় হরতালের সমর্থনে বসুরহাট পৌর সভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে বের হওয়া একটি মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা থানার সামনে সড়কের ওপর প্রায় আধা ঘণ্টা বসে থাকেন। আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে কাদের মির্জার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আহতরা হলেন-উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্চি মাসুদ, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ ১২ জন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নিতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থাকারী সিনিয়র কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখী আচরণ করেন। তারা গায়ে পড়ে পুলিশের সাথে মারমুখী আচরণ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে। তখন পুলিশ হট্টগোল সৃষ্টিকারী মির্জার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে থানা এলাকা থেকে বিতাড়িত করে।
হরতালের সমর্থনে তার সমর্থকেরা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করছেন। হরতালে উপজেলার কোথায়ও কোনো যানবাহন চলাচল করছে না। বাজারে কোনো দোকানপাটও খোলেনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিকনির্দেশনার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল (১৯ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সকাল-সন্ধ্যা এই হরতালের ডাক দেন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা।
গতকাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধসহ ৩৫ জন আহত হন।
কয়েকদিন ধরে কাদের মির্জা নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি বন্ধ করা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবং ওসি তদন্তকে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে থানা ঘেরাও, হরতাল, অবরোধ, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি মেয়রদের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও চট্রগ্রামে পর পর দুদফা হামলার শিকার হয়েছেন দাবি করে এর প্রতিবাদে এবং দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেও আন্দোলন করছেন কাদের মির্জা।