রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৯:১৫ : অপরাহ্ণ
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দুই ঘণ্টা পর তা আবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সত্যি; তবে এটি সম্পূর্ণভাবে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দায়িত্বে আছে। তার নির্দেশ তো অমান্য করতে পারি না। আমার অনুপস্থিতিতে নোয়াখালী জেলা সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী আমার বিষয়টি নিয়ে আলাপ করে চিঠিটি তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন। যাই হোক, মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করলাম এবং এটা প্রত্যাহার করে নিলাম।
এর আগে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর সই করা এক চিঠিতে আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ ও সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত কয়েক মাস থেকে আবদুল কাদের মির্জা দলীয় নেতা ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে নেতা-কর্মীদের গুরুতরভাবে আহত করায় এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও জেলার নেতাদের সর্ম্পকে মিথ্যা,অশ্লীল ও আপত্তিজনক বক্তব্য দেন এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে সংগঠনবিরোধী বক্তব্য ও নেতা-কর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সংগঠনবিরোধী উল্লিখিত কারণ ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি আচরণের অভিযোগে আবদুল কাদের মির্জাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছিল।