রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২:০০ : অপরাহ্ণ
২০১৬ সালের ১ মার্চ চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে এক সমাবেশে নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে সাংসদ এম এ লতিফের মাথায় আঘাত করার জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি সেদিন নেতা-কর্মীদের বলেছিলেন, ‘প্রতি এলাকাতে লাঠি নিয়ে সংগঠিত হবেন। লতিফকে দেখলেই মাথায় আঘাত করবেন।’
চট্টলবীর খ্যাত মহিউদ্দিন চৌধুরীর এমন হুংকারে তখন আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন সাংসদ এম এ লতিফ। মহিউদ্দিনের মতো নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জাও নোয়াখালী ও ফেনীর দুই সাংসদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। আজ (১৯ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের লাঠি হাতে নিতে বলেছেন। নোয়াখালীতে অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে এ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা।
আজকের মতো আগামীকাল শনিবারও বসুরহাট বাজারে অবস্থান কর্মসূচি করবেন কাদের মির্জা। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ অবস্থান কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করলে লাঠি দিয়ে হাঁটুর নিচে আঘাত করবেন।
আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি এবং ওসি (তদন্তকে) প্রত্যাহার এবং নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধের দাবিতে কাদের মির্জার ডাকে কোম্পানীগঞ্জে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল পালিত হয়।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হুঁশিয়ার করে কাদের মির্জা বলেন, ‘বসুরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী থেকে অপরাজনীতি নির্মূল করা হবে। কেউ বাধা দিতে এলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লাঠি দিয়ে হাঁটুর ওপরে নয়, নিচে আঘাত করবেন।’