রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২:১৫ : অপরাহ্ণ
রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশ পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে গেছে। এসময় ঢাকা দক্ষিন সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত এ সমাবেশে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করে। প্রতিবাদসভা চলাকালে একে একে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। যখন প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বক্তব্য দিচ্ছিলেন ঠিক তখনই পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপি নেতাকর্মীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করতে শুরু করে।
পুলিশের লাঠিপেটা শুরু হলে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমানুল্লাহ আমান ও হাবিবুন্নবী খান সোহেলকে নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে নিয়ে যান। এসময় অনেক নেতাকর্মী দৌড়ে অন্যত্র সরে যান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ডিএমপির রমনা জোনের এসি শেখ মো. শামীম বলেন, বিএনপির সমাবেশ থেকে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে অনেককেই ছেড়ে দেয়া হতে পারে। এ ছাড়া যাদের নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের নামে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
জানা যায়, প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একপর্যায়ে তা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রূপ নিয়ে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সমাবেশের শুরুতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমানের বীরত্বের স্বীকৃতি বীর উত্তম খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত সেটা আল-জাজিরার ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যর্থ চেষ্টা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আঘাত আসলে প্রতিহত করতে হবে, পুলিশের কাজ পুলিশ করবে, তবুও আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, লক্ষ্য অর্জনের পথে যে কোনো বাধা প্রতিহত করতে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, ভাষণ দিয়ে নয়, যুদ্ধ করেই বীর উত্তম খেতাব পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়ার খেতাব নিয়ে ব্যবসা করে না বিএনপি, গর্ব করে।
সমাবেশে রিজভী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও আমানুল্লাহ আমান এবং ইশরাক হোসেনসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।