বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত সঠিক উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন না। তিনি পাকিস্তানের নাগরিক। তার মা-বাবাও ছিলেন পাকিস্তানি। তিনি যদি বাংলাদেশি নাগরিক হতেন তাহলে তার মা-বাবার কবর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতেন। অতীতে অনেক মুক্তিযোদ্ধার কবর পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছে। কিন্তু জিয়াউর রহমানের মা-বাবার কবর তো আর বাংলাদেশে নিয়ে আশা হয়নি।’
আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। অতীতে সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি। মানুষ কি চায়, তা জানার জন্য আমরা ঘরে-ঘরে যাচ্ছি। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি। রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র এক সাথে চালাতে হবে। যা চালকের আসনে থেকে পরিচালিত করছেন শেখ হাসিনা। সকল পর্যায় থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত অবস্থানে রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজি এম এমদাদুল ইসলাম, ইউএনও মৌসুমী মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় ও আওয়ামী লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান।