সরকারকে উদ্দেশ করে আক্রমণের মাত্রা তীব্র করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘গোটা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত তখন প্রধানমন্ত্রী ‘আল জাজিরা ভাইরাসে’ আতঙ্কগ্রস্ত। রাষ্ট্র এখন মাফিয়া-গুণ্ডারা চালাচ্ছে। করোনাভাইরাসকে কাউন্টার করার জন্য নতুন নাটক তৈরি করা হচ্ছে। সেই নাটকের নাম জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব কেড়ে নেয়া এবং তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া।’
আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হয়রানিমূলক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতক্ষীরার ৩৪ জন নেতাকর্মী, পাবনায় ৪৭ জন নেতাকর্মীকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফরমায়েশি সাজা প্রদান এবং দলের বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদকে অযথা কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হঠাৎ করে অন্যায়ভাবে কোনো সুযোগ না দিয়ে নড়াইলের একটি আদালতে সাজানো মামলায় সাজা দেয়া হলো। তারপর এখন আমরা কী দেখতে পাচ্ছি, জেড ফোর্সের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান, তার নাকি খেতাব কেড়ে নেয়া হবে। আর এটির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, কীসের জন্য হঠাৎ করে এ বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হলো?’
কারো নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আজকের প্রধানমন্ত্রীর পিতা তো জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছিলেন, আপনারা সেই খেতাব মুছে দেবেন? পারবেন না। গ্রামের কুটিরে কুটিরে জিয়াউর রহমানের নাম। পদ্মা-মেঘনার উত্তাল স্রোতে জিয়াউর রহমানের নাম, কোকিলের কণ্ঠে জিয়াউর রহমানের নাম—এই নাম মানুষের হৃদয় থেকে, মানুষের অন্তর থেকে এই মাফিয়া সরকার মুছে ফেলতে পারবে না।’
এখন রাষ্ট্রীয় খেতাব কারা পাচ্ছেন এমন প্রশ্ন রেখে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘এখন খেতাব পাবে কে? খেতাব পাবে ২ খুনের আসামি, ৪ খুনের আসামি ও ৫ খুনের আসামিরা। আর জিয়াউর রহমানের মতো দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খেতাব কেড়ে নেয়া হবে। কারণ কী? সেটি তো আমরা আল জাজিরায় দেখতেই পাচ্ছি। আজকে খুনিরা অভিনন্দিত, খুনিদের খেতাব দেয়া হয়। কারণ এই রাষ্ট্র মাফিয়ারা চালাচ্ছে, এই রাষ্ট্র গুণ্ডারা চালাচ্ছে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্যসচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।