বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫

মূলপাতা দেশজুড়ে

কক্সবাজারে ১৪ লাখ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার, পৌন ২ কোটি টাকাসহ আটক ৪


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৯:০০ : অপরাহ্ণ
Rajnitisangbad Facebook Page

কক্সবাজারে ১৪ লাখ ইয়াবা বড়িসহ আটক হওয়া জহিরুল ইসলাম ফারুকের বাড়ি থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ নগদ টাকা জব্দ করেছে পুলিশ। আজ (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপন খবরের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল-চৌফলদন্ডী ব্রীজের পাশে ভারুয়াখালী খালে নোঙর করা একটি নৌকা থেকে সাত বস্তা (৭০ লাখ) ইয়াবা আটক করে। এসময় ট্রলার মালিক কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছরা এলাকার মোজাফফরের ছেলে মোহাম্মদ বাবু (৫৫) ও রাজু মেম্বারের ছেলে জহিরুল ইসলাম ফারুককে (৩৭) আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুকের স্বীকারোক্তি মতে মাছ ধরার সরঞ্জাম রাখার গ্যারেজঘর থেকে দুই বস্তা (১ কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০) টাকা উদ্ধার করা হয় বলে রাজনীতি সংবাদকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।

মোহাম্মদ বাবু ও জহিরুল ইসলাম ফারুকের স্বীকারোক্তি মতে সহযোগী হিসেবে পরে আরও ২ জনকে আটক করা হয়। এরা হলেন-ফারুকের শ্বশুর আবুল কালাম (৫৫) ও শ্যালক শেখ আবদুল্লাহ (১৯)

কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে উখিয়ার ইনানীর রেজুরখাল মোহনা থেকে ইয়াবার বিশাল এ চালানটি তারা গ্রহণ করে চৌফলদন্ডী ঘাটে এনে খালাসের অপেক্ষা করছিল। গোপন সংবাদে এটি খবর পেয়ে চৌফলদন্ডী ব্রিজ এলাকায় ভারুয়াখালী খালের সন্দেহজনক একটি ট্রলারে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ । কাঠের বোট থেকে ইয়াবা ভর্তি সাতটি বস্তা উদ্ধার করা হয়। বস্তাগুলোতে ১৪০ কার্ড ইয়াবা পাওয়া গেছে। একটি কার্ডে ১০ হাজার হিসেবে সর্বমোট ১৪ লাখ ইয়াবা পাওয়া যায়।

এসপি বলেন, গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম ফারুকের স্বীকারোক্তি মতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভার উত্তর নুনিয়ারছড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ফারুকের বাসার লাগোয়া তার (ফারুকের) মামা নয়নের খালি ভিটার টিনের ঘরের মাটির নিচ বিশেষ কায়দায় বস্তা ভরে লুকিয়ে রাখা দু’বস্তা টাকা জব্দ করা হয়। বস্তা খুলে তা গুনে এক কোটি ৭০ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং ফারুক ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, কয়েকটি দলিল পাওয়া যায়। এটি একটি অভাবনীয় ঘটনা।

কক্সবাজার পৌরসভার স্থানীয় নারী কাউন্সিলর শাহেনা আকতার পাখি বলেন, আটক চার জন এলাকায় মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। সাগরে মাছ পাওয়া যাক আর না যাক তাদের ট্রলার সাগরে নিয়মিতই যাতায়াত করেছে। অন্যরা লোকসানে পড়লেও ফারুকের ট্রলারে কখনো লোকসান হয়েছে বলে শুনিনি। বরং তার ব্যবসা দিন দিন প্রসারিত হয়েছে। আজকের ১৪ লাখ ইয়াবা ও প্রায় দু’কোটি টাকা জব্দের পর খোলাসা হয়েছে কেন মাছ না পেলেও তার ট্রলারে লোকসান হয়নি। এটা আমাদের এলাকার (নুনিয়ারছড়া) জন্য চরম লজ্জার।

মন্তব্য করুন
Rajnitisangbad Youtube


আরও খবর