রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:০০ : অপরাহ্ণ
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধীদের বিরুদ্ধে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কঠোর ভাষায় যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার প্রশংসা করেছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) রোববার রাতে ফেসবুকে নিউইয়র্ক প্রবাসী প্রিসিলার লাইভ শোতে তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধীদের সমালোচনা করতে গিয়ে নওফেলের প্রশংসা করেন। তবে কাদের মির্জা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের কড়া সমালোচনা করেছেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেন, ‘হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী দলের নেতারা যখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার হুংকার দিয়েছিল তখন আমি আমেরিকায়। তারা হুংকার দিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেবে। আমি বাংলাদেশে এসে এদের বিরুদ্ধে প্রথমে প্রতিবাদ সভা করেছি। দলকে বলেছিলাম প্রতিবাদ করার জন্য। শুধু একজন উপমন্ত্রী নওফেল এদের বিরুদ্ধে শক্ত কথা বলেছে। যারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাঙার কথা বলেছে তিনি তাদের ঘাড় মটকে দেবেন বলেছেন। তখন নওফেল ছাড়া দলের আর কেউ কথা বলেনি। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর দল প্রতিবাদ করে। কিন্তু তারা যখন হুমকি দিয়েছিল তখন দল থেকে যদি প্রতিবাদ করতো কুষ্টিয়ায় ওই ঘটনা ঘটতো না।’
তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘ভাস্কর্য কোন দেশে নাই। সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য আছে। এদেশে জিয়াউর রহমানের, এরশাদের ভাস্কর্য আছে। এদের ভাস্কর্য তো ভাঙা হলো না? বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য কেন ভাঙা হলো?’
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের গোল পাহাড় কালি মন্দিরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ভাস্কর্য বিরোধিতাকারীদের তীব্র সমালোচনা করে হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, ‘সরকারের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘাড়ে হাত রেখে বন্ধুত্বও করতে জানে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকে দিতেও জানে। সুতরাং ঘাড়ে হাত দিয়ে বন্ধুত্ব করেছে বলে, সহনশীল আচরণ দেখিয়েছে বলে মনে করবেন না সেটা দুর্বলতা।’
লাইভ শোতে কাদের মির্জা একপর্যায়ে ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের কঠোর সমালোচনা করেছেন।
কাদের মির্জা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘বামপন্থী নেতা রাশেদ খান মেননের মতো লোক বলেন, ভোট ডাকাতি হয়েছে। ভোট ডাকাতি হলে আপনি এমপি হিসেবে কেন এখনো আছেন ? বাঁচার জন্য ? এটা কি দুঃখজনক নয় ? এদেশের রাজনীতি কোথায় গেছে দেখেন। সে বলছে ভোট চুরি হয়েছে গত নির্বাচনে। আবার সে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে এখনো দায়িত্বরত আছে। এটা কি মেনে নেওয়া যায় ?’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর বরিশালে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমিও নির্বাচিত হয়েছি। তারপরও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।’