রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ৬:০০ : অপরাহ্ণ
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার পর ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হবে বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সেনাপ্রধান জেনারেল মিং অং হ্লাংয়ের পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে।
বিবিসি জানায়, দেশটির সামরিক বাহিনীর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রকৃত বহু-দলীয় গণতন্ত্র চর্চা করবো, যেখানে পূর্ণ ভারসাম্য এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এবং জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে যাওয়ার পর’ ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোমবার সকালে সেনারা অভিযান চালিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, এনএলডি নেতা অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে। মিয়ানমারের নেত্রী ও স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি ও তার ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে আকস্মিকভাবে গ্রেফতার করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
চার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে সামরিক বাহিনী
সামরিক বাহিনী থেকে জারি করা বিবৃতিতে চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো:
১. নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং নিয়মানুযায়ী ভোটার তালিকা তদন্ত এবং পর্যালোচনা করা হবে।
২. কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে সামরিক সরকার যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করা হবে।
৩. দেশজুড়ে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কাজ করে যাবে সেনাবাহিনী।
৪. জরুরি অবস্থা শেষে একটি সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে সেনাবাহিনী।
সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক সু চির
সু চি ও তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) জ্যেষ্ঠ নেতাদের দেশটির সেনাবাহিনী গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টার মাথায় জনবিক্ষোভের ডাক দেন এনএলডির এই নেত্রী। তার নামে প্রচারিত এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের জনগণকে বিক্ষোভ দেখানোর আহ্বান জানানো হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, এনএলডির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অভ্যুত্থান মেনে না নেওয়ার’ জন্য জনগণকে এক বিবৃতিতে আহ্বান জানিয়েছেন সু চি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, অং সান সু চি বলেছেন, সেনাবাহিনীর এই অভ্যুত্থান দেশের জনগনের মেনে না নেওয়া উচিত এবং তাদের উচিত এর প্রতিবাদ করা।
২০২০ সালের ৮ নভেম্বর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক ভোট জালিয়াতি হয়েছে জানিয়ে নতুন সংসদ অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে সামরিক বাহিনী। তবে গত সপ্তাহে সেনাবাহিনীর এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, সামরিক অভ্যুত্থানের হুমকির বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যেই দেশটির নতুন সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে জরুরি অবস্থা জারির এ ঘোষণা এসেছে।