রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:৫০ : পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম সিটির নবনির্বাচিত মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে একহাত নিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি রেজাউল করিমের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে ভোট ডাকাতি নিয়ে কথা বলায় এখন আমি অর্বাচীন বালক। মানে হচ্ছে আমি অবুঝ বালক। কিন্তু আপনি নিজেকে ত্যাগী নেতা দাবি করেছেন। ৬৪ বছর রাজনীতি করে ত্যাগী নেতা হয়ে কেন ভোট ডাকাতি করতে গেলেন? এটা আপনার কাছে আমার প্রশ্ন।’
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কাদের মির্জা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত মেয়রের উদ্দেশে কটাক্ষ করে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের বহদ্দারহাটের বাসভবনে রেজাউল করিম বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে ‘অর্বাচীন বালক’ বলে মন্তব্য করেন।
এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি বসুরহাটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়র কাদের মির্জা চট্টগ্রাম সিটির ভোট প্রসঙ্গে বলেছিলেন ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিসের সুষ্ঠু হয়েছে? মায়ের বুক খালি হয়েছে। সেখানে জোর করে ইভিএম ব্যবহার করে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট নিয়েছে। চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, রক্তপাত হয়েছে।’
কাদের মির্জার এ মন্তব্যের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, ‘এটা হলো অর্বাচীন বালকের প্রলাপ। আমাকে কে কী বলবে না বলবে সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। আমাকে গালি বা দোয়া কোনোটাই করতে হবে না। কাজের মাধ্যমেই প্রমাণ করে দেব চট্টগ্রামের মেয়র সেটা কী জিনিস।’
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিমের এ মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন কাদের মির্জা। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘চট্টগ্রামের মেয়র আমাকে বলেছে অর্বাচীন বালক। কিন্তু তিনি নিজেকে ত্যাগী নেতা দাবি করেও কেন মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করলেন?’
চট্টগ্রাম সিটির নবনির্বচিত মেয়রের উদ্দেশে কাদের মির্জা হুঁশিয়ারিও দিলেন-‘আপনি এতো বড় নেতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগে আপনার নামও শুনিনি। কথা বলার আগে চিন্তা করে বলবেন। যদি নিজেকে অভিজ্ঞ ও ত্যাগী মনে করেন তাহলে ভাষাজ্ঞান রেখে কথা বলবেন। এই অবুঝ বালকটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট নির্বাচনে কাস্টিং ভোটে ৭৭ ভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। এটা আপনাকে স্মরণ করে দিতে চাই।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে কথা বন্ধ করতে বলেন। তাহলে এরা কিভাবে কথা বলে! এই সাহস কোথা থেকে পায়! তারা বলতে পারবে কিন্তু আমি বলতে পারবে না। আমিও এদেশের নাগরিক।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই কাদের মির্জা দলের গঠনতন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার দলের ঘোষণাপত্রে আছে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা। ওনারা বলতে পারলে আমি কেন পারব না? আমি রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রক্তচক্ষু দেখাবেন না। চেষ্টা করবেন না। আজ সংবাদ মাধ্যমগুলোতে আমার কোনো কথা যাতে মানুষের কাছে না যেতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’