রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৪:০০ : অপরাহ্ণ
সংঘাত-সংঘর্ষ আর দুজনের প্রাণহানির মধ্যে বুধবারের (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচনে প্রায় তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় চট্টগ্রামবাসীর। এ বিজয় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকার।’
আজ (২৮ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বহদ্দারহাটে নিজ বাড়িতে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।।
নবনির্বাচিত মেয়রের কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল- ভোট কেমন হয়েছে? ভোটের হার মাত্র সাড়ে ২২ শতাংশ, এটা কীভাবে দেখেন?
উত্তরে রেজাউল করিম বলেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশ বজায় ছিল। কর্মজীবী মানুষ ভোটের চেয়ে কাজকে প্রাধান্য দেয়। সরকারি ছুটি না থাকায় সেটাও কিছু সমস্যা হয়েছে। এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ১০০ বা ৯০ শতাংশ ভোট পড়ে। গণতন্ত্রে যারাই ভোটে অংশ নেয়, তাদের মধ্যে যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনি বিজয়ী হবেন।
সিটি করপোরেশন নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার উপদ্রব কমানো এবং বেহাল সড়ক মেরামতের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো। প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচিতে প্রথমে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামবো। তারপর রাস্তাঘাট সংস্কার ও মশা উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করবো। শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য প্রতি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ করা, ‘কিশোর গ্যাং’ বন্ধ করা এবং মাদক নিমূর্লে পদক্ষেপ নিবো।
সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ে জোর দিয়ে রেজাউল করিম বলেন, সমন্বয়ের অভাব আছে। সুন্দর রাস্তা করার দুই মাসের মধ্যে কোনো সংস্থা আবার কাটে। উন্নয়নের জন্য কাটতে হবে। কিন্তু কেন সরকারি টাকার অপচয় হবে? আগে মেয়ররা উদ্যোগ নিলেও সেবা সংস্থাগুলো যে প্রতিনিধি পাঠায়, তাতে ফাঁক থেকে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করব যেন দুর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পারি। সমন্বয় সভায় সবাই যেন উপস্থিত থাকে, সে চেষ্টা করব। সমন্বয়ের অভাবে নগরবাসী যেন কষ্ট না পায়।
নগরীতে জলাবদ্ধতা ও চিকিৎসা সেবার সঙ্কট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছয় হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমবে। খালগুলো দখল হয়ে গেছে, উদ্ধার করতে হবে। আমি নিজেও জলাবদ্ধতার শিকার।
সিটি করপোরেশনের আর্থিক সঙ্কট প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী আমি। তিনি সবার বিরোধিতা জয় করে পদ্মা সেতু করেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছেন। সততা, সাহস, উদ্যোগ ছিল বলেই করতে পেরেছেন। আর্থিক সঙ্কটে আমি ভীত নই। আমার সাহস, উদ্যোগ আছে। নেত্রী আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি আছেন।
পাঁচ বছর পর চট্টগ্রাম নগরীকে কোথায় দেখতে চান- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানুষ আমাকে এত পছন্দ করেছে, আমি অভিভূত। মানুষ ভালোবেসেছে, মর্যাদা সম্মান দিয়েছে। কথা দিতে পারি, সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে কথা দিতে পারি, প্রতিশ্রুতি পূরণের কঠোর পরিশ্রম করব। স্পষ্ট বলতে চাই, অন্যায় অনৈতিক কাজে কখনো ক্ষমতাকে ব্যবহার করব না। সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।