রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন
প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি ২০২১, ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে নগরীর বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি ভোট দেন।
ভোট দেওয়ার পর রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুন্দর পরিবেশে ভালো ভোট হচ্ছে। নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করছেন ভোটাররা। উৎসবমুখর পরিবেশ ভোট দিচ্ছেন সবাই।’
প্রশ্নের জবাবে নৌকার মেয়রপ্রার্থী বলেন, জনগণের রায়ে আমি শতভাগ আশাবাদী।
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তারা সবসময় এমন অভিযোগ করে আসছে। এটা তাদের নিয়ম।
আতঙ্ক আর উত্তেজনার মধ্যে চলছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ইভিএমে একটানা ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে দেখা যায় নগরবাসীকে। শুরুর দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে শুরু করেছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বাড়তি আগ্রহ সবারই।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৬ দলের ৬ প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন। এরা হলেন-আওয়ামী লীগের (নৌকা) এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির (ধানের শীষ) ডা. শাহাদাত হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (হাতপাখা) মো. জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের (মোমবাতি) এম এ মতিন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার) মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ এবং ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির (আম) আবুল মনজুর।
সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে ভোট হচ্ছে ৩৯টিতে। ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী পদে ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিমের মৃত্যুতে গত ২১ জানুয়ারি এই ওয়ার্ডে শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে ভোট স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে ভোটের আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুন উর রশিদ।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৩১ নম্বর আলকরণ ও ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাড়া বাকি ৩৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছে ১৬৮ জন। আর ১৪টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে ৫৭ জন।
এবারের ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।