বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চসিক নির্বাচন স্পেশাল

চসিক নির্বাচন: লালখান বাজারে দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত ২৫



রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৭ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৪৫ : পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী ও বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে দফায় দফায় পৃথক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আজ (২৭ জানুয়ারি) বুধবার সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এ ওয়ার্ডের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের সামনে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডের পুলিশ লাইন কেন্দ্র, মাস কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্র এবং শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে তিন প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এছাড়া মতিঝর্ণা, পোড়া কলোনি ও লালখানবাজার এলাকায়ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ লাইন কেন্দ্রে সংঘর্ষে পুলিশ লাইন কেন্দ্রে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের চার কর্মীর মাথা ফেটে যায়। এসময় আরও পাঁচ জন আহত হন। এছাড়া শহীদ নগর সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ জন আহত হয়েছে।

১৪ নম্বর লালখান বাজার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত বেলাল। আর বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর এফ কবির আহমেদ মানিক। এই ওয়ার্ডে বিএনপি প্রার্থী হলেন আবদুল হালিম।

বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল হালিমের অভিযোগ, লালখান বাজার ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলো দখল করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলালের দাবি, তার অনুসারীদের ওপর হামলা হয়েছে নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী কবির আহমেদ মানিক ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা করেছে।

বিদ্রোহী প্রার্থী কবির আহমেদ মানিকের দাবি, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবুল হাসনাত বেলাল ও বিএনপি প্রার্থী আবদুল হালিমের লোকজন তার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে।

বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবদুল হালিম অভিযোগ করে রাজনীতি সংবাদকে বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সবকটি কেন্দ্র দখলে নিয়েছে। কোনো কেন্দ্রেই বিএনপি মেয়র প্রার্থী ও আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারা আমার ওপরও হামলা চালিয়েছে। আমার ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছে।

খুলশী থানার ওসি শাহিনুজ্জামান বলেন, লালখান বাজার ওয়ার্ডে ভোট শুরু হওয়ার পর কয়েকটি কেন্দ্রের বাইরে দু’পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

মন্তব্য করুন
Rajniti Sangbad


আরও খবর