চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত আলাউদ্দিন (২৫) আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমানের কর্মী। সংঘর্ষে এক নারীসহ আরও ৮ জন আহত হয়েছেন। আহত নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আজ (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আমবাগান ঝাউতলার ইউসেফ স্কুল ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিপক্ষের ছোঁড়া গুলিতে নিহত হন আলাউদ্দিন।
নিহত আলাউদ্দিন ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন বলে দাবি স্বজনদের। মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হলেন এমইএস কলেজের ভিপি ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আমবাগান ঝাউতলার ইউসেফ স্কুল ভোটকেন্দ্রে থেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সব এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী মাহমুদুর রহমান রাজনীতি সংবাদকে বলেন, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী সন্ত্রাসী এনে সব কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। সব কেন্দ্র থেকে আমার সব এজেন্ট বের করে দিয়েছে। আলাউদ্দিনকে ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাসীরা সরাসরি গুলি করেছে।
ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই নিহত হন। নিহত নিজামউদ্দীন এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী বলে জানা গেছে। ঘাতক সালাউদ্দিন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।
সরাইপাড়া ওয়ার্ডে নির্বাচনী বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আরেক ভাই নিহত হন। নিহত নিজামউদ্দীন এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী বলে জানা গেছে। ঘাতক সালাউদ্দিন কামরুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী।