রাজনীতি সংবাদ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ৭:০০ : পূর্বাহ্ণ
দেশের সমস্ত ক্ষমতা নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করতে সংসদ ভেঙেছিলেন নেপালের প্রধামন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। আর এবার তার বিরুদ্ধেই জোরালো হচ্ছে আন্দোলন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নেপালের ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাকে।
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই রোববার (২৪ জানুয়ারি) দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ওলিকে বহিষ্কার করেছে বলে নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোষ্ট জানিয়েছে।
নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সারা দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
অভিযোগ, ওলি ক্ষমতা নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করতে চেয়েছিলেন। চুক্তি মতো এনসিপি অপর গোষ্ঠী পূর্বতন নেপালি মাওবাদী পার্টির নেতা প্রচণ্ড কে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাননি। এর ফলে নেপালি কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে তীব্র হয় মতবিরোধ। এই বিরোধিতা চলার মাঝেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন বহিষ্কৃত ওলি। তার চাপে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন।
এনসিপির বিরোধী পক্ষের নেতা মাধব কুমার নেপাল জানান, আমরা এনসিপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ওলিকে বহিষ্কার করেছি। এবার আমরা তার বিরুদ্ধে নীতিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কারণ তিনি আর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থাকার যোগ্য নন। নিজের সিদ্ধান্তের জন্য তাকে জবাবদিহিও করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি কোনও ব্যাখ্যা পেশ করেননি।
তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন ওলি এবং বিপ্লবী নেতাপুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড। কিন্তু সেই শর্ত উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন ওলি। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়।
ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীরা। এ ছাড়া করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।