সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ১৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

মূলপাতা চসিক নির্বাচন স্পেশাল

প্রশাসন ও পুলিশ মিলে প্রহসনমূলক নির্বাচনের চক্রান্ত করছে: ডা. শাহাদাত


রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ১:৩০ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেছেন, প্রশাসন ও পুলিশ মিলে প্রহসনমূলক নির্বাচনের চক্রান্ত করছে। তিনি নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ হলেও শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ভোটের দিন মাঠ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নাসিমন ভবন নগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শাহাদাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত ৭ দিন ধরে কিছু গায়েবি ও সাজানো মামলা করা হয়েছে প্রতিটি থানায়। ১৯ জানুয়ারি থেকে প্রতিটি থানায় ১০টির বেশি মামলা করেছে। যে মামলাগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঠিক ছয় মাস আগে থেকে দেখেছি। এসব মামলায় হাজারের অধিক আসামি করা হয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত ৬৯ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে

পুলিশের হয়রানি থেকে মহিলা, শিশুরা পর্যন্ত বাদ যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোববার রাতে বাকলিয়া থানায় নেত্রী মুন্নি ও তার ১২ বছরের শিশুকে ধরে নিয়ে গেছে। নাগরিক ঐক্য পরিষদের বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিমকে রোববার রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় চকবাজার থানা পুলিশ। সঙ্গে তার ছেলেকেও ধরে নিয়ে যায়। অথচ তার ছেলে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাকে আমরা এ পর্যন্ত ৪০টি অভিযোগ দিয়েছি। এসবের কোনো সমাধান হয়নি।

নগরীতে বহিরাগত সন্ত্রাসীর আগমন ঘটছে অভিযোগ তুলে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর দিকে ইঙ্গিত রেখে বলেন, তারা কখনও রাউজান, কখনও বান্দরবান, ফেনী ও নোয়াখালীর লোকদের সাথে বৈঠক করে। আর আমরা শুধু নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে মিটিং করেছি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সাথে বৈঠকে রাউজানবাসী ‘প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে থাকার ঘোষণা’ দিয়েছে-বিষয়টি নিয়ে শাহাদাত প্রশ্ন তুলে বলেন, কীভাবে তারা এ ধরনের কথা বলে?

শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী শাহাদাত বলেন, ডাক্তার শাহাদাত কাউকে ভয় করে না। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও মাঠে থাকব।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘কেন্দ্র দখল ও হামলার’ অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছিলো বিএনপি। ওই নির্বাচনে আ জ ম নাছির হাতি প্রতীকে পেয়েছিলেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। আর কমলালেবু প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছিলেন তিন লাখ চার হাজার ৮৩৭ ভোট।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর প্রমুখ।

মন্তব্য করুন


আরও খবর