রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ৮:৩০ : অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সবার আগে করোনার টিকা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই টিকা নিয়ে মানুষের যথেষ্ট রকমের সন্দেহ আছে। সন্দেহ দূর করতে যুক্তরাজ্যে রানী নিজে প্রথম টিকা নিয়েছেন, রাশিয়াতে পুতিন নিয়েছেন। আমার প্রস্তাব, প্রধানমন্ত্রী আপনি প্রথম টিকাটা নিন। নিয়ে মানুষকে বলেন যে, এটাতে ভয়ের কিছু নেই। তাহলে দেখবেন যে, সব মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্যের উদ্যোগে ‘গণঅভ্যত্থানে দিবসের ডাক স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ শীর্ষ এই আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আমরা চাই যে, এদেশের সব মানুষ টিকা পাক। আমরা প্রথমেই বলেছি, এদেশের মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দিতে হবে। আমরা এই কথা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছি। আমরা আবারও বলছি, টিকা এদেশের মানুষ নেবে। তবে এই টিকায় আস্থা আনতে হবে এবং একই সঙ্গে সেটাকে বিনামূল্যে মানুষকে দিতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে এই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, এর বিচার একদিন হবে। করোনার শুরু থেকে এখন ভ্যাকসিন পর্যন্ত তারা সবকিছু নিয়ে নিজেদের পকেট ভরার কাজ করেছে, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করেছে। সবাইকে এক হয়ে আন্দোলন করে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সারের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বিএনপির শওকত মাহমুদ, গণসংহতি জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের এসএম আকরাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ।
ভারতের দেয়া উপহারের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেননি বলেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সবার আগে টিকা নিতে রাজি হলেন না। ব্যাপারটা কী, এটিই সন্দেহ।