রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ জানুয়ারি, ২০২১ ৬:৫০ : অপরাহ্ণ
মাত্র ৬ মাসের দায়িত্ব পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসকের চেয়ারে বসে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে নগরবাসীর আলোচনায় আসা খোরশেদ আলম সুজন আগামী চসিক নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় বুক বাধছেন।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সুজন আশায় বুক বাধার ইঙ্গিত দিলেন এভাবে-‘স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন যাই হোক মনোনয়ন না পেয়েও কোনোদিন ঘরে বসে থাকিনি। অভিমান করে বসে থাকিনি। পলিটিক্স, নির্বাচন চলমান প্রক্রিয়া। হয়তো আজ পাইনি, আগামীতে পাব।’
এবারের চসিক নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থী ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এর আগে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনেও তিনি বন্দর-পতেঙ্গা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু বারবার বঞ্চিত হন আওয়ামী লীগের এই ত্যাগী নেতা। শেষ পর্যন্ত গত ৬ আগস্ট চসিকের প্রশাসক পদে নিয়োগ পেয়ে ভাগ্যের দরজা খুলে সুজনের।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি চসিক প্রশাসকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এ চট্টগ্রাম হবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার শ্রেষ্ঠ যোগাযোগ কেন্দ্র। এটা উপলব্ধি করতে পেরেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল তৈরি করছেন। মাতারবাড়ীতে সমুদ্রবন্দর হয়ে গেছে। সেখানে আলাদা জগত গড়ে উঠেছে। মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনে সারা পৃথিবীর ইনভেস্টরার ছুটে আসছেন। এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে ২৮ দফার অন্যতম ছিল- পতেঙ্গা থেকে ফেনী হাইওয়ে পর্যন্ত বাইপাস করা। মহিউদ্দিন চৌধুরী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন নেত্রী।
চসিক নির্বাচনে জনগণকে বুঝে শুনে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জিতলেও রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে পারবে না। আমার মনে হচ্ছে বিএনপিরও যারা সচেতন আছে চট্টগ্রামের স্বার্থে ও চট্টগ্রামবাসীর স্বার্থে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়যুক্ত করে ফেলাটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিয়েছেন আমরা তাকেই চিন্তায় আনতে হবে। এটা এই জন্য যে চট্টগ্রামের স্বার্থে। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির যেটা সুবিধা হচ্ছে সেটা হচ্ছে- এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে, অনেক দিন তারা রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।