রাজনীতি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় :২২ জানুয়ারি, ২০২১ ৩:০০ : অপরাহ্ণ
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে সবার আগে করোনার টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর দেশে দেশে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা যেভাবে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে মানুষকে আস্থা ও ভরসা দিচ্ছেন ও আশ্বস্ত করছেন, আপনারাও সেই পথ অনুসরণ করুন। তাদের মতো আপনারাও সাহসী পদক্ষেপ নিন। আপনারা আগে টিকা নিলে জনগণ ভরসা পাবে। তখন দেশের মানুষ নিশ্চিন্তে এই টিকা নিতে সাহস পাবে।’
আজ (২২ জানুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জনগণের সংশয় নিরসন ও উৎসাহী করতে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদাদো টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে বলেছেন, টিকা যে নিরাপদ এবং বৈধ, তা নিশ্চিত করতে আমিই প্রথম ডোজ নিলাম। টিকা নিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহকে প্রথম ডোজ দিয়ে দেশটিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।’
এ বিএনপি নেতা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভার্চুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা আশা করবো প্রথম টিকাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। আর এ দৃশ্য সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী টিকা নিলে ভ্রান্ত ধারণা কেটে যাবে। অনাগ্রহ কাটিয়ে টিকা নিয়ে আগ্রহী হবে দেশবাসী। তখন জনগণ উপলব্ধি করবে, আপনারা দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত, জনগণকে আপনারা সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসেন।’
বাংলাদেশের মানুষের ওপর ট্রায়াল করে টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিশ্চিত হওয়ার জন্যই উপহার হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে এ টিকা পাঠিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ভারত নিজেরা এই টিকার পরীক্ষা শুরু করবে আগামী মার্চ থেকে। ওই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ না হওয়া সত্ত্বেও ভারত সরকারের ছাড়পত্র পাওয়ায় বহু বিশেষজ্ঞ বিস্মিত। সুতরাং আমরা কি বিপজ্জনক গিনিপিগে পরিণত হয়েছি ভারতের টিকা পরীক্ষার?’
এ বিএনপি নেতা বলেন, এই সরকার শুরু থেকেই কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে লেজেগুবরে অবস্থা করে ফেলেছে। করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আতঙ্ক ও ভীতির সুযোগে ত্রাণ বিতরণের নামে সারাদেশে দুর্নীতি ও লুটপাট, ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগিতায় কোভিড-টেস্টের ভুয়া সনদপত্র কেলেঙ্কারি, করোনা চিকিৎসার নামে ভুয়া হাসপাতাল চালু, মাস্ক, পিপিই সরঞ্জাম, সেনিটাইজার খরিদ-টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব- এতসব অপকর্ম করে জনগণের কাছে এই সরকারের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।